ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন

     

    ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন 

    আমার প্রাণ প্রিয় ভাই ও বোনেরা। আপনি যদি একটা পাসপোর্ট বানিয়ে থাকেন বা আবেদন করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেটা পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হবে। ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন সবাই অনেক ভয়ে থাকেন। তার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। আমাদের দেশের বেশ কিছু সুযোগ সন্ধানী পুলিশ রয়েছে। যার একটু সমস্যা করে থাকে। যদি আপনার কোন ভুল কিংবা ইল্লিগাল কিছু না থেকে থাকে তাহলে আপনার পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে কোনো সমস্যা হবে না। 

    অনেকে আছে জন্ম নিবন্ধন কিংবা এনআইডি কার্ডের নাম এবং বয়স ঠিকানা সঠিক দেয় না। অনেকে বয়স কমিয়ে রাখে। সঠিক নাম ব্যবহার করে না। নিজের ঠিকানাও পরিবর্তন করে রাখে। এমন কিছু ফালতু লোকের জন্য আমাদের সাধারন লোকের সমস্যায় ভুগতে হয়। আর এসব ফালতু লোকদের শায়েস্তা করার জন্য আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা অনিক অস্বস্তিতে ভোগে। আপনার অবশ্যই সঠিক নাম ঠিকানা বয়স আইডি কার্ডের নাম্বার দিবেন। তাহলে কোন সমস্যা হবে না।  আমাদের গুগলের নিউজ এখনই ফলো করে রাখুন

    ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন পাসপোর্ট পাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তদন্ত কর্মকর্তা ক্লিয়ারেন্স রিপোর্ট দিলেই আপনার আবেদন ঢাকার পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছাবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট নেগেটিভ হলে, আপনার পাসপোর্ট আবেদনের যাত্রা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস পর্যন্ত চলবে। সব মিলিয়ে পাসপোর্ট পাবেন না!

    আরো পড়ুনঃ  ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে

     
    বর্তমানে, আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি ইতিমধ্যেই অনলাইনে আবেদন করে থাকেন এবং আঞ্চলিক অফিসে ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করেন, ছবি তোলা এবং অন্যান্য কাজ করেন, তাহলে পরবর্তীতে ই-পাসপোর্ট পেতে সবচেয়ে বড় বাধা হল ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন।

    ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন কি?

    পুলিশ ভেরিফিকেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন প্রার্থী/নাগরিক কর্তৃক প্রদত্ত সমস্ত দাপ্তরিক এবং ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করা হয়।

    একজন নাগরিক হিসাবে, একজন পুলিশ অফিসারকে আপনি বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন জায়গায়, যেমন: পাসপোর্ট, চাকরিতে যোগদান বা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা তথ্যের সত্যতা যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই প্রক্রিয়াকে পুলিশ ভেরিফিকেশন বলে।

    আপনি যদি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে এর মানে আপনি দেশ ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক (ব্যতিক্রম হতে পারে)। সেক্ষেত্রে দেশে আপনার নামে কোনো অভিযোগ আছে কিনা তা জানতে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়।

    ই পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফেকেশন প্রক্রিয়া

    ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন এক জায়গায় বা দুই জায়গায় করা যায়। আপনার যদি একই বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা থাকে তবে যাচাইকরণ শুধুমাত্র একটি জায়গায় করা হবে।

    বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ভিন্ন হলে উভয় স্থানেই যাচাই-বাছাই করা হবে এবং দুজন পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন।
     
    সাধারণত, স্থায়ী ঠিকানা পরিষ্কার হয়ে গেলে, বর্তমান ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য অন্য কর্মকর্তার কাছে আদেশ আসবে।

    স্থায়ী ঠিকানায় যাচাই করার জন্য, পুলিশকে সাধারণত নাগরিক সনদ বা চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সরবরাহ করতে হয়। পুলিশ আসার পর আপনি যদি জায়গাটি সনাক্ত করতে না পারেন, তাহলে আপনার পরিচিত কাউকে নথি পাঠান।

    একইভাবে, আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানায় পৌঁছানোর পরেও পুলিশ এই জাতীয় নথি চাইবে। আপনি যদি শহরে থাকেন, তাহলে চেয়ারম্যানের শংসাপত্রের জায়গায় কাউন্সিলরের কাছ থেকে আপনার নাগরিকত্বের শংসাপত্রের প্রয়োজন হতে পারে। উপরন্তু, আপনি যদি একজন ছাত্র হন, তাহলে আপনাকে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের একটি আসল কপি দেখাতে হতে পারে।

    পুলিশ ভেরিফিকেশনে নেগেটিভ রিপোর্ট আসার কারণ কী?

    দেশ ও দেশে আইনের শাসনের জন্য ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একবার পাসপোর্ট হাতে পেলে বিদেশ যেতে আর কোনো বাধা নেই। সেক্ষেত্রে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক, মামলা বিচারাধীন বা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্য কোনো নাগরিক যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট নেগেটিভ বা ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো:

    যদি আবেদনকারীকে অভিযুক্ত করা হয়, গ্রেফতার করা হয়, দোষী সাব্যস্ত করা হয় বা অপরাধী, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মামলায় আটক করা হয়।
    যদি আবেদনকারীর কোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রেকর্ড থাকে।
    কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে।
    ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর চরিত্র ও সামাজিক অবস্থা।
    আপনি যদি এই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকেন, তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশনে ক্লিয়ারেন্স রিপোর্ট এসে পাসপোর্ট পাওয়ার আশা করতে পারেন। আপনি যদি পরে ই-পাসপোর্টের স্থিতি পরীক্ষা করেন, আপনি দেখতে পাবেন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মুলতুবি। এরপর সেটি প্রিন্ট করে আঞ্চলিক অফিসে পাঠানো হবে, তারপর সেখান থেকে মেইল ​​বা মেসেজ পাওয়ার পর আপনি গিয়ে ডেলিভারি নিতে পারবেন।

    ই-পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন এক জায়গায় করা হলে সাধারণত 8-10 দিন সময় লাগে। যাইহোক, বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা উভয় করতে 15-20 দিন সময় লাগবে।

    আশা করি আপনারা সবকিছু বুঝতে পেরেছেন ই পাসপোর্ট  পুলিশ ভেরিফিকেশন কেন করতে হবে। সামাজিক এবং দেশের অবরোধের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন করা খুবই প্রয়োজন। আপনাদের মতামত কমেন্টে জানাতে পারেন। 
    Next Post Previous Post