মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলে কীভাবে টাকা ইনকাম করা যাই । Earn Money From Youtube Channel With Mobile (Part-1)

     হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছো সবাই? 
    আশা করি সবাই অনেক ভালো আছো। তো বন্ধুরা আজকে আমি তোমাদের বলবো তোমরা  মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলে কীভাবে টাকা ইনকাম করা যাই,ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়,ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়,ইউটিউব থেকে আয়। HowTo Earn Money From Youtube With your Mobile. 
    earn money from youtube.jpg

    তাই আমি অনেক গুলো পার্ট আকারে পোস্ট করে এবং ভিডিও বানিয়ে খুব সহজে বুঝিয়ে দেব। আজকে আমি তোমাদের চ্যানেল দিয়ে কীভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবে সেটা বলব। 
    এই ২০২১ সালে ইউটিউবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা খুব কঠিন একটা বিষয়। তবে এটা নিয়ে তোমরা যদি সঠিক নিয়ম জেনে কাজ করো তাহলে তোমরাও সফল হতে পারবে। 
    তবে ইউটিউবিং করতে হলে তোমাকে অবশ্যই নিজের ভিডিও নিজে বানাতে হবে। অন্নের ভিডিও কপি বাঁ চুরি করা থকে বিরত থাকতে হবে। কেননা চুরি করে ইউটিউবিং করলে বাঁ অন্নের ভিডিও আপলোড দিলে আপনার চ্যানেল ইউটিউব বাতিল করে দিবে। তাই আগেই আমি তোমাদের সতর্ক করে দিলাম।

    এখন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তুমি মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেঃ
    কি কি থাকতে হবেঃ
    1. একটা  Andriod মোবাইল ফোন
    2. Net Connection + Data
    3.  Gmail Account 
    4.  কাজ করার মত সময় 
    5. ধৈর্য
    6. Creativity
     
     ১ম স্টেপঃ একটা Andriod Mobile Phone
     
    বন্ধুরা যেহেতু আমরা মোবাইল আমরা মোবাইল দিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করব  তাই আমাদের সবার আগে একটা মোবাইল দরকার। এমন একটা মোবাইল দরকার যেটা দিয়ে তুমি ভাল রকম ভিডিও বানাতে পারবে। দেখা গেলো তুমি এমন একটা ফোন নিলে যেটা দিয়ে তুমি ভিডিও করতে পারছো না । এই জন্য তোমাকে অবশ্যই মিনিমাম ২ জিবি র‍্যামের হতে হবে। বেশি হলে আর ভাল হয়।

    এখন তেমাকে চিন্তা করতে হবে তুমি কোন জিনিসটা ভালো পারো। টিকটক ভালে পারলে কিন্তু হবে না। তাহলে টিকটক করো ইউটিউবে এসো না। আগেই বলেছি অন্যের কোন জিনিস ব্যবহার করতে পারবে না। সেটা হোক গান বা ভিডিও। কিছুই নিতে পারবেন না। তবে কিছু Background Music আছে যে গুলো আপনি আপনার ভিডিওর background এ লাগাতে পারবেন। এতে আপনার কথা শুনতে আরো ভালে লাগবে। এটা নিয়ে পটে কথা বলবো। 

    আসল কথাই আসি তুৃমি কোন জিনিসটা ভালো পারে? সেটা নিয়েই তোমাকে ভিডিও বানাতে হবে। দেখা যাচ্ছে তুমি ভালো কবিতা বলতে পারো, কৌগুক বানাতে পারো, নিজের মুখে গান গাইতে পরো, মানুষকে পড়াশোনা শেখাতে পারো এগুলে তুমি ভিডিও করতে পারো তোমার ফোনে।

    আর যদি তুমি ভালো গেম খেলা করতে পারো তাহলে তুমি সেটাই করতে পারো। Google থেকে Du Screen Rocorder ডাউনলোড করে নাও সেটা দিয়ে ভাবে মোবাইলের Screen record করতে হয় ইউটিউবে গিয়ে সার্চ দিয়ে শিখে নাও।  

    তবে হ্যা তোমাকে সবার প্রথমে ভিডিও ইডিট কীভাবে করতে হয় সেটা শিখতে হবে। তুৃমি গুগলে গিয়ে সার্চ করো কীভাবে মোবাইল দিয়ে ভিডিও ইডিট করতে হয়। ভিডিও ইডিটিং সফটওয়্যার দিয়ে ইডিট করা শিখে নাও। এবার গেম খেলে Screen record করে ইডিট করে ইউটিউবে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারো। 

    ২ নং স্টেপ : Net Connection + Data
    ইউটিউবে কাজ করতে হলে তোমাকে অবশ্যই বেশি পরিমানে নেট খরচ করতে হবে। এবং নেট কানকশন টাও ভালো হতে হবে। 

    ৩ নং Gmail Account  : 
    তোমার একএা gmail account না থাকলে এখুনি একটা জিমেইল একাউন্ট খুলে ফেলো।  কেননা এই জিমেইল দিয়ে তোমার চ্যানেল খুলতে হবে। আর ওই চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে হবে। 

    আমি আমার পরবর্তী পোস্টে বা Part-2 তে কীভাবে ইউটিউবে চ্যানেল খুলবে সেটা দেখাবো। এই জন্য তোমরা আগামীকাল রাতে আমাই ব্লগে ভিজিট করে দেখে নিও কীভানে ২০২১  সালে সঠিক নিয়মে চ্যানেল খুলতে হয়। 

    ৪ নং কাজ করার মত সময়: 
    বন্ধুরা ইউটিউবে কাজ করতে হলে তোমাকে অবশ্যই সময় সম্পর্কে সচেতন হতে হবে  ইউটিউব এমন একটা জায়গা যেখান থেকে তুমি সফলতা পেলে আর অন্য কোথাও কাজ করতে হবে না। এটা থেকে তুমি তোমার পুরো লাইফ ইনকাম করতে পারবে। তাই এই ২০২১ সালে এসে ইউটিউব অনেক কঠিন হয়ে গেছে। যারা professional ভাবে এবং বেশি সময় দেই youtube a তারাই সফলতা পাই। এজন্য তোমাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে এই ইউটিউবের পিছনে। আপনি চাইলেই ১-৭  দিনে সফল হতে পারবে না। এজন্য আপনাকে সময় নিয়ে ভাবুন আগে। ইউটিউবে সফল হতে মিনিমাম ২ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়।  এত সময় হাতে থাকলে তবেই ইউটিউবে আসুন। তনে হ্যা আপনি চাইলে দিনে ৪ ঘন্টা সময়  দিলেন। বাকি সময় অন্য কাজ করলেন। সেটা আপনার ওপর। 

    এখন আপনাকে রেগুলার কাজ করতে হবে। না হলে আপনাকে ইউটিউব বিদায় জানিয়ে দিবে। রেগুলার বলতে আপনি হিসাব করে নিন আপনি সপ্তাহে কতটা ভিডিও দিতে পারবেন? যদি সপ্তাহে ৩ টা করে ভিডিও দেন তাহলে বেছে নিন কবে কবে ভিডিও দেবেন। কননা আপবার ভিডিও দেওয়ার ওপর কিন্তু ইউটিউব নজর রাখে। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় পর পর ভিডিও দেন তাহলে ইউটিউব অটোমেটিক আপনার ভিডিওতে ভিউস আনবে। যদি সপ্তাহে ৭ টা ভিডিও দিতে পারেন তাহলে খুবি ভালো হয়। 

    তবে আপনি ইউটিউবে যত ইচ্ছা তত ভিডিও দিতে পারবেন। তবে ভিউস আসবে খুবই কম। 

    ৫ নং ধৈর্য : 
    বন্ধুরা এতক্ষন কিন্তু আমার ধৈর্যের বিষটাই আলোচনা করছিলাম। এমনও সময় আসবে আপনার চ্যানেলে ১০ হাজার সাবস্ক্রাইব কিন্তু ভিডিওতে ১০০ ভিউসও হয় না। এজন্য ধৈর্য হারালে হবে না। আপনি আপনার কাজ চালয়ে যাবে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।  তাই আপনাকে মন ঠিক করে কাজ করার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। 

    ৬নং Creativity  বা দক্ষতা :
     ইউটিউবিং করার সবচেয়ে গুরুত্ববহন করে creativity. Creativity হলো  সেই জিনিস যেটা তোমাকে নতুন কিছু ভাবগে শেখায়। নতুন কিছু তৈরি কারকে Creagivity বলে। তাই তোমার মাথাই নতুন নতুন জিনিস বানানোর চিন্তা আনতে হবে। আর সেই নতুন জিনিস বানিয়ে ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করতে হবে। তালে সেটা বেশি ভিউস পাবে। কেমনা মানুষ সব সময় নতুন নতুন জিনিস দেখতে  পছন্দ করে। 

    আজ এই পর্যন্তই। পরের পার্টে আমরা দেখবো কীভাবে চ্যানেল খুলতে হয়। 
    Next Post Previous Post